আরমান হত্যার ১১মাস, এখনো গ্রেফতার হয়নি আসামি, গোপালগঞ্জ ও টুঙ্গিপাড়ায় প্রকৃত আসামীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন।
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি।
আজ গোপালগঞ্জ প্রেসক্লাব ও টুঙ্গীপাড়া প্রেসক্লাবের সামনে সাংবাদিক তপু শেখের একমাত্র পুত্র আরমান শেখ (২০) এর হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে মানববন্ধনের করেন গোপালগঞ্জ ও টুঙ্গীপাড়ায় কর্মরত বিভিন্ন সাংবাদিক ও সর্বস্তরের জনগণ । গত ১১ ই মে আরমান শেখ বাড়ি থেকে বের হয় ১২ই মে দুপুর আনুমানিক ২টর সময় তার লাশ দারিয়ার কুল নদী থেকে উদ্ধার করে টুঙ্গিপাড়া থানা পুলিশ।
আরমান হত্যার বিচার ও আসামীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করছে জেলার কর্মরত সাংবাদিক বৃন্দ, প্রেসক্লাবের সদস্যবৃন্দ ও গোপালগঞ্জ জেলার সর্বস্তরের জনগণ। আরমানের বাবা তপু তার ছেলে হত্যার ব্যপারে সন্দেহভাজন কয়েকজনের নাম গোপালগঞ্জ ও টুঙ্গীপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার ও মামলার তদন্তকারী অফিসারকে বার বার জানালেও ব্যাপারটি আমলে না এনে অন্যদিকে প্রবাহীত করছে মামলাটি,বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জানা যায়, সম্প্রতি ঘটে যাওয়া টুঙ্গিপাড়া উপজেলার গিমাডাঙ্গা মুন্সীরচর গ্রামের দৈনিক লোকালয় বার্তা, দৈনিক একুশের বানী পত্রিকা মো. তপু শেখের একমাত্র ছেলে মো. আরমান শেখ(২০) উপজেলা নির্বাচন পরবর্তী ১১ই মে সকাল আনুমানিক ৯টায় বাসা থেকে বের হয়। তার পরিবারের লোকজন সারাদিন খোজাখুজি করে না পেয়ে টুঙ্গিপাড়া থানায় ব্যাপারটি জানায়। ১২ই মে দুপুরে টুঙ্গিপাড়ার দাড়িয়ারকুল শ্মশান ঘাট সংলগ্ন নদী থেকে টুঙ্গিপাড়া থানা পুলিশ আরমানের লাশ উদ্ধার করে। লাশের গলায় গামছা পেঁচানো, মাথায় কোপ, থুতনির নিচে ও গলায় ছুরির কোপের ক্ষত চিহ্ন।
আরমানের শরীরের ক্ষত চিহ্ন দেখে মনে হয় ওকে যারা খুন করেছে তাদের অনেক রাগ ছিল ওর বা ওর বাবার প্রতি। পরবর্তীতে শোনা যায় আরমান শেখ একটি ইজিবাইক ভাড়া নিয়ে চালাতে গিয়েছিল ঐ দিন। আরমান যদি ঐ দিন ইজি বাইক ভাড়া নিয়ে বের হয় তাহলে তাও উধাও।
টুঙ্গিপাড়া থানায় আরমানের বাবা সাংবাদিক তপু শেখ বাদি হয়ে ১২/৫/২০২৪ইং তারিখে একটি অজ্ঞাতনামা একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে টুঙ্গিপাড়া থানা পুলিশ হত্যা মামলার সাথে জড়িত সাইফুর নামের এক আসামিকে গ্রেফতার দেখায়। অস্বামী রিমান্ড ছাড়াই স্বীকারোক্তি প্রদান করে। আরো দুইজনের নাম প্রকাশ করে। জানা যায় গ্রেফতার কৃত আসামী বলেছে, গত কয়েক বছর পূর্বে গিমাডাঙ্গার এক স্কুল ছাত্রী ধর্ষণ হয় ঐ ধর্ষণের আসামীদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন হয়। সেই মানববন্ধনে আসামী গ্রেফতার করতে সাহায্যে করেছিল আরমানের বাবা সাংবাদিক তপু শেখ।
এই স্বীকার উক্তিতে সুস্পষ্ট বোঝা যায় কেউ হয়ত মিথ্যা বলছে বা আসামিকে কেই সাজিয়ে গ্রেফতার করিয়েছে মূল ব্যাপারটি আড়ালে রাখার জন্য কারণ মেয়েটি যখন ধর্ষণ হয় সেই সময় তপু শেখ সাংবাদিক জগতে পা রাখেনি। তাছাড়া। গ্রেফতারকৃত আসামী হত্যার সাথে জড়িত আরো যে দুই জনের নাম প্রকাশ করেছে হত্যার প্রায় ১১ মাসের কাছাকাছি হলেও টুঙ্গিপাড়া থানা পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় নাই সেই সাথে তার কাছে থাকা ইজিবাইক ও যে সকল অস্ত্র দিয়ে আরমানকে হত্যা করা হয়েছে তাও উদ্ধার করতে ব্যর্থ তারা।
অপরদিকে আরমান হত্যা হয়ে যাওয়ার পর থেকে আরমানের বাবাকে বিভিন্ন মহল থেকে কৌশলে হুমকি প্রদান প্রদান সহ ভয়ভীতি দেওয়ায় আরমানের বাবা টুঙ্গিপাড়া থানায় নিজ ও পরিবারের নিরাপত্তার জন্য একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
মানববন্ধনে সাংবাদিক নেতারা জানান আগামী এক মাসের মধ্যে আরমান হত্যাকারীদের গ্রেফতার করতে না পারলে আরো কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেওয়া হবে বলে ।