যশোরের অভয়নগর সাব রেজিস্ট্রি অফিসের পিয়ন মুকুট
এর ঘুষ কান্ড
যশোরের সমাজ নিউজ
যশোরের অভয়নগর সাব রেজিস্ট্রি অফিসের পিয়ন মুকুট এবার হুংকার ছুড়ে বলেছেন,পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করে তার কিছুই করা যাবে না। গত ৯ মার্চ অভয়নগর সাব রেজিস্ট্রি অফিসে ঘুষ বাণিজ্যের নেতৃত্বে পিয়ন মুকুট শিরোনামে একটি তথ্যবহুল সংবাদ প্রকাশ হলে তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠেন তিনি। এরপর দলিল লেখকদের সামনে হুংকার ছুঁড়ে বলতে থাকেন নানাকথা। ইতিমধ্যে এই ছবি ও ভিডিও বিভিন্ন মহলে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে।
ভুক্তভোগিরা বলেন, পিয়ন মুকুট বর্তমান সাব রেজিস্টার ইকবাল হুসাইনের সাথে যোগসাজসে ঘুষ বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন। এ রেজিস্ট্রি অফিসে বর্তমানে প্রতিমাসে ৫‘শ থেকে ৬‘শ দলিল রেজিস্ট্রি হচ্ছে। ঈদকে সামনে রেখে পিয়ন মুকুট কবলা দলিলের মুল্য অনুযায়ী প্রতি লাখে ঘুষ আদায় করছেন ৬‘শ টাকা হারে। দলিলের ওয়ারেশ বা প্রত্যয়নপত্র বাবদ নিচ্ছেন এক হাজার থেকে দেড় হাজার টাকা। টিপ বাবদ নিচ্ছেন ১শ থেকে ৫শ টাকা। সব মিলিয়ে পিয়ন মুকুট বছরে ৭ হাজারের বেশী রেজিস্ট্রিকৃত দলিল থেকে ঘুষ আদায় করছেন প্রায় পঞ্চাশ লাখ টাকা। আর এর সবই হচ্ছে সাব রেজিস্টারের সামনে। অভিযোগ রয়েছে, কোনো দলিল লেখক ঘুষ দিতে অস্বীকার করলে তাদেরকে নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে।এদিকে, সাব রেজিস্টারের বিরুদ্ধে ফুসেঁ উঠেছে দলিল লেখকসহ দাতা গ্রহিতারা। রেজিস্ট্রির সময় কাগজপত্র তল্লাশীর নামে কালক্ষেপনসহ নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। এতে করে কাঙ্খিত সেবা পাচ্ছে না সাধারণ মানুষ। এসব অভিযোগ ভুক্তভোগী দলিল লেখকসহ সাধারণ মানুষের। তারা গ্রামের কাগজকে বলেন, সাব রেজিস্টার ইকবাল হুসাইনকে অন্যত্র বদলি না করলে লেখকসহ সাধারণ মানুষের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। তাদের অভিযোগ ঘুষ বন্ধের ঘোষণা দিলেও নাটকীয়ভাবে সাব রেজিস্টার পিয়ন মুকুটকে দিয়ে ঘুষ আদায় অব্যাহত রেখেছেন। এব্যপারে কথা হয় জেলা রেজিস্টার মোহাম্মদ আবু তালেব বলেন, বিষয়টি তিনি অবগত হয়েছেন। পিয়ন মুকুটের ঘুষ বাণিজ্য ও ঘুষ নেয়ার ছবিও তিনি পেয়েছেন। খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান তিনি।