যশোরে মাদকের ছগাড়াছড়ি বাড়ছে অপরাধ
যশোরের সমাজ নিউজ
যশোর শহরের রেলগেট, রায়পাড়া, রেল স্টেশন খড়কিরসহ বেশ কিছু এলাকা ভাসছে অবৈধ মাদক দ্রব্যে। দেদারছে চলছে অবৈধ মাদক, আগ্নেয়াস্ত্র কারবার আর একই সাথে শুরু হয়েছে নিয়মিত ছিনতাই, খুন, জখমসহ নানা অপরাধ। মাদকের কারনে এসব অপরাধ হচ্ছে বলে মনে করছে স্থানীয়রা। এ সকল অপরাধ জগতের গডফাদার মাহাবুব আলম ম্যানসেল। আর ম্যানসেরের প্রধান সহযোগী হিসাবে কাজ করছে পলিথিন বাবু। আবার পলিথিন বাবু প্রধান সহযোগী হিসাকে কাজ করে, দুই শ্যালক ইমদাদুল হক রাজু ও তাজু। এদিকে ইমদাদুল হক রাজু করেন লোক দেখানো ফার্মেসী ব্যবসা। ফার্মেসী ব্যবসার আড়াতে নিয়ন্ত্রন করেন বড় মাদক সিন্টিগেট।
স্থানীয় বিভিন্ন সূত্র জানায়, পলিথিন বাবু বেনাপোল বন্দর দিয়ে যশোরে মাদক ঢুকানোর জন্য বেছে নিয়েছে অভিনব পন্থা। বাবু এখন করেন যশোর-বেনাপোল রোডের একটি পরিবহনের চেকার হিসাবে কর্মরত আছে। তবে এই পলিথিন বাবু চেকার হিসাবে কাজ করলেও মুলতো তার কাজ বেনাপোল থেকে যশোর মাদক আমদানি করা। এছাড়া বাবুর নামে অস্ত্র, মাদক ও হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।অনুসন্ধানে জানা যায়, শহরের রায়পাড়া এলাকার মৃত কুদ্দুস মল্লিকের ছেলে ইমদাদুল হক রাজু (৩৬) ও তাজু (৩২), ছোট এর স্ত্রী শিলি বেগম (৪২), একই এলাকার মরা‘র স্ত্রী আসমা বেগম (২৫), সেকেন্দারের স্ত্রী সাই বেগম (৪০), সেকেন্দার ছেলে হোসেন আলী (৩২), করিম গাজির ছেলে মিন্টু গাজি (৩০), লিয়াকতের ছেলে রাহমান (৩১), প্রিন্স (৩৮), লিয়াকতের ছেলে রহমান (৩৫) ও কুরবানের ছেলে জুম্মান (৩৫)।
রেল স্টেশন এলাকার রবিউল (৪৬), আবুল হোসেনের ছেলে রাজ্জাক (৩৪) ও লিয়াকতের ছেলে শানু হোসেন (৩০) ও রাজন (৩০)।
রেলগেট এলাকার মনির স্ত্রী নাসরিন বেগম (২৫), মুজিবরের স্ত্রী জহুরা বেগম (৪৪), জালালের ছেলে বাবু (৩৫), ছোটোর বউ শিলি (৩০) করিমের ছেলে সবুজ (২৯), মিন্টু (৩৪), আমিনুর (২৭), সম্পত্তির ছেলে সোহেল (২৮), মরা ও তার স্ত্রী আসমা, ব্লাক তপন (৩৫), শুকুর (৩০), ডালিমের ভাই লুতু (৪০), মারুফের ছোট বউ সুমি।রেলগেট কলাবাগান পাড়া এলাকার ছোয়েদ ও স্ত্রী নার্গিস, সুফির ছেলে সোহেল (৩৫), শহিদুল (৪০), শাহীন(৪০), রকি (৩২), ডলার (৩০), চাঁন গাজি স্ত্রী আনু বেগম (৩৮), আজিজের ছেলে ডালিম হোসেন (৩৮), শিউলি (২৫) ও ছেদির ছেলে ফয়সাল (৩৮) ও খড়কির ইমরান (৩০) আমজাদের ছেলে কবির (৩৮) ও পিচ্চি রাজা ডিলারদের কাছ থেকে এসকল মাদক ক্রয় করে খুচরা বিক্রি করে থাকে। এবং মুজিব সড়ক পঙ্গু হাসপাতালের সামনে জবা বেগম (২৮), মৃত আক্তার হোসেনের মেয়ে তিসা আক্তার প্রিয়া (২২) ও প্রিয়ার মা শাহানাজ বেগম (৫০) ও এ মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত। এছাড়া মাদক ব্যবসায়ী তিসা আক্তার প্রিয়ার সহযোগি রোকেয়া বেগম (৪৩) মাদক ব্যবসায়ীর পাশাপাশি শহরের ভ্রাম্যমান পতিতা পরিচালনা করে থাকে।এ বিষয়ে স্থানীয় একাধিক অভিভাবক জানায়, এসকল এলাকায় যে হারে মাদক ব্যবসা বেড়েছে তাতে এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়া ছাড়া আর কোন উপায় নেয়। দ্রুত প্রশাসন যদি হস্তক্ষেপ না করে তাহলে আমাদের ছেলে-মেয়েদের মাদকের দিকে ঠেলে দেওয়া ছাড়া আর কোন গতি থাকবে না।এ বিষয়ে যশোর কোতয়ালী থানার অফিস ইনচার্জ আব্দুর রাজ্জাক এর ব্যবহৃত দাপ্তরিক নাম্বারে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।